January 2018



অমর ডি কস্তা, নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মোস্তফা হোসেন (৫৫) নামের এক দিনমজুরকে কিল, ঘুষি ও পদদলিত করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই দিনমজুরের মৃত্যু হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার নগর ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের সুদ ব্যবসায়ী গৌতম সরকার ওরফে গৌতম মেকার ও সঙ্গীয়রা তাকে কয়েনবাজার এলাকায় সুদের টাকা পরিশোধ না করায় নির্যাতন করে আহত করার পর বাড়ি ফিরে আসলে অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত মোস্তফা লালপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া চিলান গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে দিনমজুর মোস্তফা পারিবারিক অনটনের কারনে ব্যক্তিগত কাজে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বড়াইগ্রামের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের গৌতম মেকারের কাছে শতকরা ২০ টাকা হারে ১২ হাজার টাকা সুদের উপর নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধে ব্যর্থ হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মোস্তফাকে কয়েন এলাকার সানোয়ারের আম বাগানে ডেকে নিয়ে গৌতম মেকার ও তার কর্মচারী সবুজ কিল, ঘুষি ও পদদলিত করে গুরুতর আহত করে।

আহত অবস্থায় পথে পড়ে থাকতে দেখে কয়েন গ্রামের মোকাম্মেল মেকার তার বাড়িতে পৌছে দেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মোস্তফার মৃত্যুু হয়। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহরিয়ার খাঁন জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


উখিয়ার বালুখালি-০১ ক্যাম্পের একটু ভেতরে ঢুকলে বাজারের আগেই চোখে পড়বে ফ্রেন্ডশিপ ক্লিনিক। প্রাথমিক স্বাস্থসেবা নিতে আসা রোহিঙ্গাদের লম্বা লাইন এই সকাল বেলাতেই। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল দু’জন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পাশাপাশি ঘরে স্বাস্থসেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। হঠাৎ চোখ আটকে গেল ছয় থেকে সাত বছরের এক মেয়ের দিকে। নিজেই ডেকে লাইন থেকে পরবর্তী রোগী ডেকে নিয়ে আসছেন। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা প্যারামেডিক এর কোন কথা রোগী বুঝতে না পারলে ঝরঝরে বার্মিজ ভাষায় বুঝিয়ে দিচ্ছে। আর রোগীদের কথা বুঝিয়ে দিচ্ছে ভাঙা ভাঙা বাংলায়। তবে তাতে মূল কথাটি বোঝা যাচ্ছে স্পষ্টভাবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল রোহিঙ্গা এই মেয়েটির নাম সাদিয়া। দিন পাঁচেক আগে প্রথম এসেছিল মাকে নিয়ে। এরপর সময় পেলেই নিজে নিজে চলে আসে ফ্রেন্ডশিপ ক্লিনিকে। ফ্রেন্ডশিপ ক্লিনিক, বালুখালি ক্যাম্প -০১
ফ্রেন্ডশিপ ক্লিনিক, বালুখালি ক্যাম্প -০১ এর মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট বিপাশা খাতুন বললেন, ‘ক্লিনিকের পাশেই ওর বাসা। খেলতে খেলতেই চলে আসে। প্রথমবার মাকে নিয়ে আসার পর, প্রায়ই ঘুরতে ঘুরতে ক্লিনিকের ভেতর চলে আসত। আমরাও আদর করতাম। এভাবে আসতে আসতে আমাদের কাজের ধরণ ও অনেকটাই বুঝে ফেলে। রোগী এলে প্রথমেই নাম, কোন ব্লক, রোগের বিবরণ ইত্যাদি জিজ্ঞেস করতে হয়। অনেক সময়ই দেখা যায় আমাদের কথা ওরা বোঝে না বা ওদের কথা আমরা বুঝছি না। তখন সাদিয়া নিজে থেকেই সেগুলো রোগীদেরকে বুঝিয়ে দিচ্ছে। আবার রোগীদের কথা আমাদেরকে ভাঙা ভাঙা বাংলায় বুঝিয়ে দিচ্ছে। এ কারণে চিকিৎসা পেতে রোহিঙ্গাদের খুব উপকার হচ্ছে।’

মায়ানমারে বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। সেখানেই ক্লাস টু পর্যন্ত পড়েছে সাদিয়া। বাংলাদেশে এসে বালুখালির একটি এনজিও স্কুলে চারদিন গিয়েছে। এরপর আর যাওয়া হচ্ছে না। কারণ স্কুলে জায়গার সঙ্কট। তবে পরের ব্যাচে সে আবার স্কুলে যাওয়া শুরু করবে। এই চারদিনে তিনটি বাংলা কবিতাও শিখে ফেলেছে বলে জানাল সাদিয়া। আমরা কবিতা শুনতে চাই। প্রথমে একটু লজ্জা পেলেও শুরু করলে সাদিয়া, ‘বাক বাকুম পায়রা, মাথায় দিয়ে টায়রা, বউ সাজবে কালকি, চরবে সোনার পালকি।’ আবার ধরে,‘ঝড় এলো এলো ঝড়, আম পড় আম পড়/ কাঁচা আম পাকা আম/টক ঝাল মিষ্টি /এই যা এলো বুঝি বৃষ্টি।’ চমৎকার আবৃত্তি নয় হয়ত। কিন্তু মাত্র চারদিনে এতাকিছু শিখে ফেলেছে ভাবতেই বিস্ময় জাগে।
পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করতেই ভাইয়ের কথা বলে ওঠে। নাম তার মোহাম্মদ জাবের। ‘মায়ানমার আর্মি যখন উঠানে জাবেরকে ধরে ফেলে, আমরা তখন বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে চলে আসি। দূর থেকে দেখতে পাই ভাইয়ের বুকে ২টি গুলি করা হল।’ এসব দেখে কাঁদতে ভুলে যায় সাদিয়া। সে আরো বলে, ‘এরপর টানা চারদিন পায়ে হেঁটে নৌকায় উঠি। তারও দুইদিন পর বাংলাদেশে। বাবা মোহান্মদ জাকারিয়া, মা আর বৃদ্ধা দাদীকে নিয়ে কোনমতে প্রাণে বাঁচে সাদিয়ার পুরো পরিবার। অবাক হয়ে দেখি, মূলত দোভাষী হিসেবে কাজ করলেও এক মুহূর্ত বসে নেই সাদিয়া। প্রচণ্ড স্বত:স্ফুর্ত হয়ে সবাইকে সাহায্য করছে। এতোটুকু ক্লান্তি নেই। প্যারামেডিক যদি কারও জ্বর দেখার জন্য রোগীর মাথায় হাত দিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে সে থার্মোমিটার এগিয়ে দিচ্ছে সাদিয়া। এতোটাই ভাল বুঝে গেছে ক্লিনিকের সবকিছু। একদম বড়দের মত রোগীদের দেখভাল করছে। ঔষধ কখন কীভাবে খাবে সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কীভাবে থাকতে হবে সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে। তবে এর মাঝেও চঞ্চলতা দেখা যায়। পাশেই ওদের বাসা হওয়ায় যখন তখন চলে যাচ্ছে আবার আসছে ইচ্ছে মতন।
পাশেই সাদিয়াদের ঘর। ভাবলাম একটু ঘুরে যাই। বেরিয়ে এলেন সাদিয়ার মা। বললেন, ‘সাদিয়া মানুষের উপকার করছে এতে আমার খুবই ভাল লাগছে। বাংলাদেশের সবাই আমাদেরকে এতো সাহায্য করছে, এখন যদি নিজেরা এটুকু সাহায্য করতে না পারি তাহলে কীভাবে হবে! আর ফ্রেন্ডশিপের সবাই এতো ভাল যে ক্লিনিকে যাওয়া আসার মাঝে থাকলে মেয়েটা ভাল কিছুই শিখবে বলে আমার বিশ্বাস।’ কথা হল সেবা নিতে আসা আযাই বেগম এর সঙ্গে। বাংলা একবিন্দু বোঝেন না। কথা বলতে হল সাদিয়ার সাহায্য নিয়েই। তিনি বললেন, ‘আমি এর আগেও এসেছিলাম ফ্রেন্ডশিপ ক্লিনিকে। তবে এবার এসে সবকিছু অনেক সহজ মনে হচ্ছে। কারণ সাদিয়া সবকিছু বুঝিয়ে দিচ্ছে। আল্লাহ ওর অনেক ভাল করুক। খুব অল্প সময়ে সবার শুভকামনা ও দোয়া পেয়েছে সাদিয়া। জিজ্ঞেস করি, বড় হয়ে কী হতে চাও? ‘বড় হয়ে একসময় আব্বুর মত স্কুলে পড়াতে চাই।’ এভাবেই নতুন দিনের স্বপ্ন দেখে এই ছোট্ট বিস্ময় বালিকা।



রাজধানীতে ফানুস ওড়ানোর ফলে অগ্নিকাণ্ডসহ নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন হুমকির সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় যে কোনো ধরনের ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (০৬ জানুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, কিছু কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে আকাশে ফানুস ওড়িয়ে দিচ্ছেন।
এসব ফানুসে কেরোসিন দ্বারা প্রজ্জ্বলিত বাতি থাকায় এগুলো অনির্বাপিত অবস্থায় জনবহুল মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় পড়ছে। এতে অগ্নিকাণ্ডসহ নানাবিধ নিরাপত্তা জনিত হুমকির সৃষ্টি হচ্ছে।
মহানগরীতে ফানুস ওড়ানো অব্যাহত রাখলে যে কোনো সময় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।
এ অবস্থায় ডিএমপি এলাকায় যে কোনো ধরনের ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়, এ নিষেধাজ্ঞার ব্যতয় ঘটলে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



রাশিয়ার প্রত্যন্ত ইয়াকুটিয়া অঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে গেছে মাইনাস ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাপমাত্রার এই ভয়াবহ অবনমনে চোখের পাতায়ও জমে যাচ্ছে বরফ।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৫ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পূর্বে ইয়াকুটিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেডর্ক করা হয় মাইনাস ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাইনাস ৮৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
প্রায় ১০ লাখ লোকের বসবাস রয়েছে ওই অঞ্চলে। কয়েকদিন ধরে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেই বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল শিক্ষার্থীরা। তবে মঙ্গলবার থেকে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে, ছেলেমেয়েদের বাড়ির মধ্যে রাখতে।

মানুষের বসবাস রয়েছে, বিশ্বের এমন শীতলতম স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি রাশিয়ার শাখা অঞ্চলের ওয়াইমায়াকনস্কি জেলার ওয়াইমায়াকন গ্রাম। মঙ্গলবার এই গ্রামের তাপমাত্রা থার্মোমিটারের পারদকে পরাস্ত করেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ওয়াইমায়াকন গ্রামের একটি থার্মোমিটারের রিডিং দেখানো হয়, যেখানে দেখা যায়, থার্মোমিটারের সর্বনিম্ন স্তরে পারদ নেমে গেছে। ওই থার্মোমিটারের সর্বনিম্ন মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পরিমাপের ক্ষমতা রয়েছে।
সপ্তাহের শেষ দিন ঠান্ডায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গাড়ি বিকল হওয়ায় তারা হেঁটে পার্শ্ববর্তী খামারবাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ঠান্ডায় তাদের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় তদন্তদল গঠন করা হয়, যারা জানিয়েছে ওই তিন জনের সঙ্গে থাকা অন্য তিন ব্যক্তি প্রাণে বেঁচে গেছেন, কারণ তাদের পরনে ছিল গরম কাপড়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ওয়াইমায়াকনে সর্বকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ওই বছর সেখানে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল মাইনাস ৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ঠান্ডায় চোখের পাতায় বরফ জমে গেলেও ইয়াকুটিয়ার জীবনযাত্রা থেমে নেই। কেন্দ্রীয়ভাবে অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গরম রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মাইনাস ৪০-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের মানুষের কাছে অসহনীয় হলেও ইয়াকুটিয়ায় তা নতুন নয়। এমন বৈরী আবহাওয়ায় তারা অভ্যস্ত। ইয়াকুটিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমে চরম ঠান্ডার এই খবর প্রাধান্য পায়নি।


বাসর ঘরে ঢুকে পাশে বসতেই
বৌ আমাকে বলল….
—-ঘড়িতে তাকিঁয়ে দেখুন তো কয়টা বাজে??
বাসর রাতে বৌয়ের এমন সাহসী প্রশ্নে কিছুটা বিচলিত
হলাম।তখন ঘড়িতে তাকিঁয়ে দেখি রাত ১২.৩০মিঃ।আমি
বৌয়ের পাশে বসে আস্তে করে বললাম…..
—-শোনো আমার এখন বিয়ে করার কোন ইচ্ছেই ছিলো
না।আমার বাবা-মায়ের পছন্দেই তোমাকে বিয়ে করেছি।
তবে আমার কারো সাথে কোন সম্পর্ক ও নেই।কিন্তু আমি
বিয়ের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না।তাই আমি
এখন চাইলেও এত সহজে তোমাকে বউ হিসেবে মানতে বা
বৌয়ের অধিকার দিতে পারবোনা।
কথা গুলো বলে শেষ করা মাত্র ই
নতুন বউ আমার পাঞ্জাবির কলারটা চেপে ধরে বলল…..
—-আমাকে কি খেলার পুতুল মনে হয় নাকি??পছন্দ হয়নি,
বিয়ে করতে চাননি এইটা আগে বলতে পারলেন না??
নিজের মায়ের মন রক্ষা করতে আমার সব আশা-স্বপ্ন কে
কেন বলিদান দিতে হবে?
বিয়ে করার ইচ্ছে নেই,এইটা আমাকে আগে বললেই
পারতেন।তবেই আমি আমার পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙে
দিতাম।মায়ের প্রতি ভন্ড ভক্তি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে
আমার জীবনটা কেন এইভাবে নষ্ট করে দিলেন হুম?
আমি তো আপনার কোন ক্ষতি করিনি।এখন আমি
যেভাবে বলব সেভাবেই সব হবে। ঠিক আছে????
বলেই কলার টা ছেড়ে দিলো।পরে আবার বলল….
—-আচ্ছা যা হবার তা তো হয়েই গেছে।
দিতে হবে না আপনাকে বউয়ের অধিকার।
যান নিচে গিয়ে ঘুমান।একদম খাটে ঘুমাতে পারবেন না।
বলেই আমার বালিশ পা ফ্লোরে ছুড়ে মারলো।আমি ও
বাধ্য ছেলের মতো ফ্লোরেই শুয়ে পড়লাম।আর মনে মনে
ভাবতে লাগলাম,কেমন গুন্ডি মেয়ে রে বাবা।জীবনেও
এমন মেয়ে দেখিনী।
মনে তো হচ্ছে জীবন পুরাই তেজপাতা করে ছাড়বে।
.
ফ্লোরে ঘুমই আসছেনা।কখনই ফ্লোরে ঘুমাই নি।কিন্তু
আজকে নিজের অমতে বিয়ে করার কারনেই ফ্লোরে
ঘুমাতে হচ্ছে।
এর মধ্যে মশার আন্দোলন। ইসসসসসস,,,,,,সহ্য হচ্ছেনা।চোখ
বন্ধ শুয়ে করে আছি।কখন জানি ঘুমটা লেগে গেছে
বুঝতেই পারিনি।হঠাৎই সজাগ হয়ে দেখি আমার শরীরে
কম্বল আর পাশে ও মশার কয়েল লাগানো।মনটাতে একটু
স্বস্তি পেলাম,চোর হলেও মানুষ ভালো।
মনে মায়া-দয়া আছে।
.
পরের দিন ঘুম থেকে উঠেই দেখি টেবিলে চা রাখা।চা
খেয়ে,ফ্রেশ হয়ে রুমে বসে ফোন টিপছিলাম তখন ই
তানিয়া (আমার বৌ)এসে বললো…..
—-এইযে সেই কতক্ষন যাবত খাবার নিয়ে সবাই অপেক্ষা করছে
আর আপনি ঘরে বসে আছেন কেন?এখনি নিচে চলুন আগে……??বলেই আমার কানের কাছে এসে আস্তে করে
বললো…
—–নাকি খাবার টা রুমে নিয়ে আসবো?
আমি তো হার্ট এ্যাটাক হতে হতে বেচেঁ গেছি।আমি তো
ভাবছিলাম,বউ বুঝি এইবার ও কলার ধরেই আমাকে খাবার
টেবিলে নিবে।কিন্তু না,বউয়ের স্বর পাল্টে গেছে,তবে
কি বউ আমার প্রেমে পড়ে গেল নাকি??কথাটা ভাবতে
ভাবতেই বউয়ের দিকে তাকালাম।হা হয়ে তাকিঁয়ে
আছি,বউ তো আমার হেব্বি সুন্দরী।রাতে তো ভাবছিলাম
হিটলারনি।এখন দেখি না মায়াময়ী।এইবার যে আমি
বউয়ের প্রেমে পড়ে গেলাম।নিজেই নিজেকে বললাম…
—-পিন্টু মনে হয় তুই তোর হিটলারনি বউয়ের প্রেমে পড়ে
গেছিস।
.
হঠাৎ একটা বিকট শব্দে বাস্তবে ফিরলাম।
সামনে তাকিঁয়ে বউ আমার ফ্লোরে পরে চোখ বন্ধ করে
আছে।বুঝতে পারলাম,পাগলীটা খুবই ব্যথা পাইছে।
দৌড়ে গিয়ে টেনে তুলে বসাতে গেলাম আর অমনি
আস্তে করে বলল…..
—-কেমন স্বামী গো আপনি??
আমি তো একটু ভ্যাবাচ্যকা খেয়ে গেলাম।
বললাম…
—-আমি আবার কি করলাম।
বৌ বলল….
—-আমি মাটিতে পরে আছি কই কোলে করে নিয়ে
বিছানায় শোয়াবেন,তা না করে আমার হাত ধরে
টানছেন।
সাথে সাথেই আমি কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে
দিলাম।
আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল….
—-ইচ্ছে করে এইভাবে ই ধরে রাখি সারাটা জীবন।কিন্তু
আপনি তো আমাকে পছন্দই করেন না।
কথা শেষ করেই তানিয়া দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো।
আমারও বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে গেল।আমারো খুব বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল *
কপালে একটা চুমো একেঁ দিয়ে বলি …
—-পাগলী আমি যে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি
গো।
কিন্তু পারলাম না।কোথায় জানি একটা বাধাঁ
পাচ্ছিলাম।এই সুযোগে তানিয়া আমাকে ঠেলে
বিছানায় ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালালো।আমি শুধু ওর
চলে যাওয়ার পানে তাকিঁয়ে রইলাম।পরক্ষনেই খেয়াল
হলো,ও তো ব্যথা পাইছে।যার কারনে কোলে করে
উঠাতে হলো।বুঝতে আর বাকি রইলো না,এইবার ও
আমাকে বোকা বানানো হয়েছে।
.
পাগলিটার সাথে খুনসুটি প্রেম করতে করতেই কেটে গেল
২টা বছর।এখন কেউ কাউকে ছাড়া কিছু ভাবতেই পারিনা।
আমার পাগলীটা এখন গর্ভবতী।
তাই খুব যত্ন নেই তার।আজকেই বাচ্চা হবার তারিখ
দিয়েছে ডাক্তার।
আমি অফিসে ছিলাম,হঠাৎই বাবার ফোন পেয়ে ছুটে
গেলাম হসপিটাল।গিয়েই শুনলাম আমার ঘর আলো করে
এসেছে এক ছোট্ট রাজকন্যা।
কিন্তু….
আমার পাগলিটার কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছিনা কেন??ভয়ে
আৎকে উঠলাম।অনেকের মুখেই শুনেছি,বাচ্চা জন্ম দিতে
গিয়ে মারা গেছে অনেক মা।সে ভয়েই বাচ্চা নিতে
চাইনি।কিন্তু ওর নাকি বাচ্চা লাগবেই।
ওর ইচ্ছে পূরন করতে গিয়েই কি তবে……???
আর ভাবতেই পারছিনা।
আর একটা মিনিট ও নষ্ট না করে,দৌড়ে গেলাম কেবিনে।
গিয়ে দেখি বাচ্চা টা হাত পা নাড়িয়ে খেলছে।
কিন্তু তানিয়া চোখ বন্ধ করে রাখছে।
ওর নিঃশ্বাস আছে কি নাই তা দেখার মতো ধৈর্য আমার
ছিলোনা।তাই তানিয়াকে জড়িয়ে চিৎকার দিয়ে
ফেললাম।
সাথে সাথেই কানের কাছে একটু ব্যথা অনুভব করলাম।
পরে দেখি তানিয়া আমার আস্তে করে কানে কামড়
দিয়ে বলল….
—–কি ভাবছিলা তোমাকে একা রেখে চলে যাবো??
আরে না গো,আমি চলে গেলে,তোমাকে জ্বালাবে
কে??
আমিও বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলাম।আর
বললাম,বড্ড ভালোবাসি রে পাগলি তোকে।ছাড়বোনা
কখনই। 💗💗💗💗
কেমন হলো জানাতে ভুলবেন না,,

‘গ্রিন সি’ কচ্ছপের লিঙ্গ নির্ভর করে ডিম ফোটার আগে সাগর তীরের বালি ও সাগরের পানির তাপমাত্রার ওপর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাগরের তাপমাত্রা যত বাড়ছে, পুরুষ কচ্ছপের জন্ম তত কমে যাচ্ছে।অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রীফের উত্তরাঞ্চল কচ্ছপের প্রজননের প্রধান একটি জায়গা। সেখানে দুই লক্ষ কচ্ছপের ওপর এক গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডিম ফুটে প্রধানত নারী কচ্ছপ বেরুচ্ছে।বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে নারী-পুরুষের সংখ্যার ভারসাম্যতার অভাবে কচ্ছপের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।বিজ্ঞানীরা এখন উপায় খুঁজছেন কীভাবে ফোটার আগে ডিমগুলোর জন্য শীতল পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।

কুইন্সল্যান্ডে পরিবেশ দপ্তরের বিজ্ঞানী ড কলিন লিম্পাস বলছেন, ডিম ফোটার আগের দিনগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করে বালি ঠাণ্ডা রাখার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে যাতে পুরুষ-নারী কচ্ছপের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হয়।এছাড়া, সাগরের বিচের যে জায়গাগুলোকে কচ্ছপ ডিম পাড়ে, সেখানে তাঁবু খাটিয়ে বালি ঠাণ্ডা রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে।





পৃথিবীতে প্রতিটি নবজীবনের জন্য, তা উদ্ভিদ হোক বা প্রাণীই হোক, খাবার মজুদ করা থাকে এবং তা দিয়েই নবজাতকের পুষ্টি ও বৃদ্ধি হয়। উদ্ভিদের প্রতিটি বীজে অঙ্কুরের সাথে ফলের বিরাট অংশ জুড়ে থাকে তার প্রাথমিক খাবার। অঙ্কুরোদগম হলে এই খাবার খেয়েই শিশুগাছটি প্রকৃতিতে নিজের জায়গা করে নেয় এবং তারপর প্রকৃতির আলো, বাতাস, মাটি, পানি থেকে খাবার সংগ্রহ করে। কোনো বীজ ফল থেকে শুধু অঙ্কুরটি আলাদা করে রোপণ করলে তা বাঁচে না। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বেলায় নবজাতকের খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ।সৃষ্টির আদিকাল থেকে চলে আসছে এ নিয়ম। মায়ের কোলজুড়ে যে ফুটফুটে ছোট চাঁদের কণার মতো শিশুটির জন্ম হয়, তাকে বাঁচিয়ে রাখঅর জন্য ও তার দেহ-মনের যথাযথ বৃদ্ধি, পুষ্টি ও বিকাশের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটি হচ্ছে মাতৃস্তন।

তাই বলা হয়ে থাকে শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব দান। আর এ দান থেকে আমরা কোনোভাবেই তাকে বঞ্চিত করতে পারি না। নানা রকম মিথ্যা প্রচারণা ও প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে শিশুর প্রথম ও প্রধান অধিকার থেকে বঞ্চিত করা রীতিমতো অন্যায়। মায়ের দুধ যেখানে সহজলভ্য সেখানে আমরা তার মুখে তুলে দিচ্ছি বাজারজাত কৃত্রিম দুধ। মায়ের দুধের উপকারিতা সবাই আমরা যতটুকু জানি বা বলছি তার চেয়েও বেশি। প্রায়ই এই গুণাগুণ আমরা শুনছি। প্রয়োজন এটাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মায়েদের তা কার্যকর করা। যদিও আমরা জানি তবুও এর কতগুলো গুণাবলি আবার উল্লেখ করছি: মায়ের দুধ- নিরাপদ, পরিষ্কার, সহজলভ্য ও সঠিক তাপমাত্রায় পাওয়া যায়।

একটি শিশুর স্বাভাবিক সুস্থ জীবনযাপন, শারীরিক গঠনের জন্য যা যা প্রয়োজন, শারীরিক গঠনের জন্য যা যা প্রয়োজন , তার সবটুকুই মায়ের দুধের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। বিশেষ করে শিশুর পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত। মায়ের দুধের ভেতরে রোগ প্রতিরোধক রয়েছে, যেগুলো শিশুর রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে ডায়রিয়অ না হতে সাহায্য করে,এমনকি ফুসফুস ও শ্বাস রোগের প্রতিরোধ করে। এই কার্যকারিতা বাজারের কোনো দুধের ভেতরে পাওয়া যায় না। মায়ের বুকের দুধ ছোট শিশু অতি সহজে হজম করতে পারে।শালদুধকে শিশুর প্রথম টিকা বলা যায়। তাই জন্মের পরপরই শিশুকে বুকের প্রথম শালদুধ খাওয়ানো উচিত। মায়ের দুধ পান করলে মা ও শিশুর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। শিশুর মায়ের দুধ চুষে পান করে বিধায় শিশুর দাঁত উঠতে এবং চোয়াল শক্ত হতে সাহায্য করে। এটা তৈরি অবস্থায় পাওয়া পাওয়া যায় বিধায় ঝামেলা ও জীবাণুমুক্ত। মায়ের দুধ পানকারী শিশুর অ্যালার্জি ও হাঁপানি রোগের আশঙ্কা তুলনামূলক খুবই কম। মায়ের দুধ পান করলে রোগ প্রতিষেধক টিকা যথাযথ কার্যকরী হয়। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশুকে মায়ের স্তন ক্যান্সার ও জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বহুলাংশে কমে যায়। শিশুকে মায়ের দুধ পান করানোর জন্য কোনো বাড়তি খরছের প্রয়োজন হয় না। মায়ের দুধের ভেতরে টাউরিন নামক একটি উপাদান আছে, যা শিশুর মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মায়ের দুধ খেয়ে বড় হওয়া শিশু তুলনামূলক অধিক কুদ্ধিমান হয়।



কক্সবাজার শহরের গোলদীঘির পাড় এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের দুই শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বামীর লাশ গলায় ফাঁস লাগানো ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাত আটটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিৎ কুমার বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, এক পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও দুই মেয়ের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্ত্রী ও দুই মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। অন্যদিকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় (ঝুলন্ত) পাওয়া যায় গৃহকর্তা সুমন চৌধুরীকে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে আসল রহস্য। পুলিশ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাসায় পৃথকভাবে বসবাস করেন সুমন চৌধুরীসহ তাঁর অপর চার ভাই। সুমনের বড়ভাই আমীর চৌধুরী (৪৫) বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার বেলা দুইটার দিকে সুমন (৩৩), তাঁর স্ত্রী বেবী চৌধুরী (২৮), মেয়ে অবন্তিকা চৌধুরী (৫) ও জ্যোতি চৌধুরী (৩) দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমোতে যায়। কিন্তু বিকেল পাঁচটার পরও তাঁরা ঘুম থেকে না ওঠায় তাঁদের দরজায় টোকা দেন তিনি। এরপরও সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশকে খবর দেন। সন্ধ্যায় রাজ বিহারী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন দরজা-জানালা বন্ধ। ভেতরে কারও সাড়াশব্দ নেই। এরপর তিনি পুলিশকে খবর দেন। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া বলেন, টিনশেডে দুই তলার বাসার নিচতলার একটি কক্ষে একটি খাটের ওপর পড়ে ছিল সুমনের স্ত্রী বেবী ও দুই মেয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর দুইতলায় সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় রশি বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনের লাশ পাওয়া যায়। বেবী চৌধুরী ও দুই মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, সুমন চৌধুরী প্রথমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন। এরপর দুই মেয়েকে হত্যা করেন।
রাত সাড়ে আটটায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার একেএম ইকবাল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সুমনের সংসারে অভাব ছিল। অভাবের কারণেই তিনি স্ত্রীসহ দুই মেয়েকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আরও তদন্ত চলছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পৌঁছালে হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।
পৌর কাউন্সিলর রাজবিহারী দাশ প্রথম আলোকে বলেন, গোলদীঘির পাড়ে সুমন চৌধুরী একটি দোকান ভাড়া নিয়ে প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসা শুরু করেন। বিক্রি কমে যাওয়ায় ছয় মাস আগে তিনি অন্য ব্যক্তিকে ভাড়া দেন। সেই টাকায় তিনি সংসার চালাতে পারছিলেন না। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি ছিল। সম্ভবত অভাবের কারণে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
সুমন চৌধুরী মা বসুমতী চৌধুরী (৭৫) ছেলেসহ চারজনের মৃত্যুতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তিনি বিলাপের সুরে বলেন, কল্পনাও করিনি সুমন এভাবে সবাইকে নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে।





দুই বছর পর আবারও চলচ্চিত্রে পর্দায় এক সঙ্গে জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী আরেফিন শুভ ও জাকিয়া বারি মম। ‘মনফড়িং’ শিরোনামের একটি ছবির জন্য জুটি বাঁধছেন তারা। ছবিটি পরিচালনা করবেন শিহাব শাহীন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এপ্রিলেই ‘মনফড়িং’ ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান পরিচালক। তবে শুটিংয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে লোকেশন ঠিক থাকলেও এখনও কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি। শিগগিরই বিস্তারিত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান পরিচালক।


এ ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে শুভ বলেন, ‘একটি শিকড়হীন ছেলের দেশের আবেগ, অনুভূতি আর সংস্কৃতির প্রেমে পড়ার গল্পই হল মনফড়িং। আশা করছি, দর্শকদের আবারও ভালো একটি ছবি উপহার দিতে পারব।’ মম বলেন, ‘ছবিতে আমার চরিত্রটি কেমন তা এখনই বলতে চাই না। আশা করি ছবির গল্প দর্শকদের ভালো লাগবে।’ উল্লেখ্য ২০১৫ সালের এপ্রিলে মুক্তি পেয়েছিল শুভ-মম জুটির প্রথম ছবি ‘ছুঁয়ে দিলে মন’। পরিচালনা করেছিলেন শিহাব শাহীন। এবার প্রথম ছবির নায়ক-নায়িকাকে নিয়েই তিনি শুরু করছেন নতুন ছবির কাজ।




ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি শিল্পা শিন্ডেই হাসলেন শেষ হাসিটা৷ বিগ বস ১১র জয়ী হলেন শিল্পা৷ ‘ভাবি জি ঘর পর হ্যায়’ সিরিয়াল খ্যাত অভিনেত্রী পেলেন বিজেতা ট্রফি৷ একই সঙ্গে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন ৪৪ লক্ষ টাকা৷
বিগ বস ১১’র শুরু থেকে ছিলেন শিল্পা৷ সিসনের মাঝে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ভোটে বেড়িয়ে আসতে হয় তাঁকে৷ কিন্তু এরপর ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে ফিরে আসেন বিগ বসের বাড়িতে৷ গোটা সিজনে বিকাশ গুপ্তার সঙ্গে তার ‘দা-কুমড়া’  সম্পর্ক ছিল সবার চর্চ্চার বিষয়৷

বিগ বসের বাড়িতে ঝগড়া, চেঁচামেচি, কিচেন পলিটিক্স, হাই মেলোড্রামা থাকবে না এটা হতে পারে না৷ শিল্পাকে নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি৷ প্রথমে বিকাশ গুপ্তার সঙ্গে তার ঝগড়া আলোড়ন ফেলে দেয়৷ এরপর সারাক্ষণ রান্নাঘরে পরে থাকার এবং তাঁর অস্বাস্থ্যকর স্বভাবের জন্য বিগ বসের ঘরে কম ঝড় ওঠেনি৷ গত এক বছরের মতো সময় ধরে শিল্পার হাতে কোন কাজ নেই৷ বিগ বসে আসার পর অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীর ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছে৷ এবার দেখার পালা শিল্পার ক্ষেত্রে কতটা খাটে বিগ বসের প্রভাব৷

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আজকের প্রথম ফ্লাইটটি বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।



এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এটি আজকে প্রথম ফ্লাইট ছিল। সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে রেজাউল করিম জানান, আজ সকাল ছয়টা পর থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ আছে। সকাল নয়টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট (বিজি ৩০৮) ঢাকায় অবতরণের কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে সেটি চট্টগ্রামে অবতরণ করে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রেজাউল করিম জানান, কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের রানওয়ের দৃষ্টিসীমা একেবারে শূন্যতে নেমে যাওয়ায় বিমান চলাচল বন্ধ হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশা পড়েছে আজ সারা দেশেই। সকাল ছয়টা থেকে রাজধানী ঢাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৮০০ মিটার। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ সকালে ছিল রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬।




The character of Kajal's character of the very popular heroine of the nineties of the last decade of Bollywood, is that she can not stay quiet enough. This actress can talk a lot for a long time. Several times he has also been criticized by the unscrupulous remarks. Madame Tussaud's museum in London has taken an initiative to transform the sparkling Kajal into a wax figure.



In Madame Tussauds, a statue of Amitabh Bachchan, Salman Khan, Shahrukh Khan, Katrina Kaif, Hrithik Roshan and Madhuri Dixit wax statue has been set up. Wax statues found on Padmashree could have been made earlier. But why not, it is unknown. Although late but it is finally going to take effect. A source close to Kajal said, Madame Tussaud's authority has already talked with Kajal. Statue dresses and styling have been fixed. Finishing the measurement It is heard that the statue of Kajal could be placed next to the statue of Shahrukh Khan. Shahrukh-Kajol is very popular as a couple on screen. So there is nothing to be surprised if Madam kept his statue in Tussaud side by side.


In Bollywood, Kajal is seen in the movie 'Dilwale' opposite Shahrukh Khan. It was released in 2015. Then last year he worked in a Tamil film. That was the beauty of Rajinikanth's daughter Beauty. Indian Express




There has been allegations that a child has been raped in Ashulia of Dhaka. Police arrested Badiuzzaman (35), a trader, in this incident.Today, the child has been admitted to the One Stop Crisis Center (OCC) of Dhaka Medical College Hospital for medical examination. Her father bus driver.Family of Ashulia police and rape victim's family said that the family of Badiuzzaman and his family were arrested in the cell as well. On Friday, Bodiuzzaman took the child to his house by showing him the temptation to conduct rituals. Then she raped him. He also threatened to not disclose the matter to anyone. Due to fear, the child did not tell the incident to his parents. Today, the child is suspected by the physical condition of his mother. After asking the mother, the child says everything open. In this incident, the child's mother filed a case against Ashulia Police Station against Badiuzzaman. Then the police arrested Badiuzzaman.The child's mother said that her daughter had been subjected to fear because of her daughter. But after seeing the physical condition he understood the matter.Ashulia Police Station Officer-in-Charge Abdul Awal said that the case has been filed after getting the authenticity of the incident in the initial investigation. After this, Badiuzzaman was arrested.


1.8 million people in Bangladesh suffer from kidney disease. 35 to 40 thousand people are being kidnapped every year. If kidney failure, only 10 percent of people could afford costly treatment. There is no chance of getting treatment for this disease outside of Dhaka.The speakers said this at a joint ceremony organized by the International Society of Nephrology (ISN), Kidney Foundation and Bangladesh Renal Association on Saturday. They gave importance to the treatment of kidney patients, kidney transplantation and dialysis, which was expanded outside Dhaka.






Culture Minister Asaduzzaman Noor was the chief guest at the Kennedy Foundation auditorium giving 'ISN Pioneer Award, 2017' and the inaugural session of the Scientific Seminar. He said most of the kidney patients outside Dhaka are not allowed to come to Dhaka for treatment. The matter has to be left over to fate. He said, as well as the expansion of medical treatment across the country, awareness of diarrhea was created at the same time, awareness should also be created to prevent kidney disease. If necessary, it will be necessary to promote the matter with the famous personalities including actors.







On the occasion, the annual "ISN Pioneer Award for the year 2017" is being given for the leading role in the prevention and treatment of kidney diseases in the developing countries. ISN is giving this award to the bodies of kidney diseases in 152 countries. Kennedy founder president of Kidney Foundation received the ISN Pioneer Award in Bangladesh from Bangladesh in recognition of the leadership of Kidney patients in Bangladesh, expansion of kidney expansion and expansion of dialysis, taking care of disease prevention and taking necessary training. Harun and Rashid.In today's ceremony, officially Harun and Rashid handed over the prize to former ISEN president and ceremony coordinator John Fahli. Speaking on the occasion, Director General of Health Department Professor Abul Kalam Azad said that a large number of campaigns will be run in this year to prevent various non-invasive diseases including kidney.


Social Welfare Secretary Zillar Rahman, President of Bangladesh Renal Association Professor Rafiqul Alam, Secretary General Nazrul Islam, Kidney Foundation Vice-President Prof MA Wahab, Secretary General M Muibur Rahman and others spoke on the occasion.

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget